বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের (মেয়র) নিট পরীক্ষা দিতে এসে, স্কুলে সাপের ছোবল পরীক্ষার্থীকে, জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য তমলুকে শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে , হামলার অভিযোগে ধিক্কার মিছিল ভালুকায় পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের অন্যতম বৃহত্তম ও আধুনিক বৃদ্ধাশ্রম ‘হেনরী ভুবন’ উদ্বোধন হলো ভালুকায় মে দিবস উপলক্ষে মটরযানর‌্যালী কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের আজ স্বর্গীয় সতিন্দ্র লাল দাশ গুপ্তের ৯তম মৃত্যু বার্ষিকী সরিষাবাড়ীতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সাংবাদিক হয়রানি মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরায় মানববন্ধন  জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন গাছা থানা কমিটির অনুমোদন

অবলা নারী নির্যাতনের এক আত্মকাহিনী 

প্রকাশোনায় : দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

 

ভয়ে সংশয়ে আমি পাথর হয়ে ছিলাম যেন কি হচ্ছে কিভাবে হচ্ছে জানি না। যখন হাতটা পুরোপুরি আমার বুকের উপর রাখা হলো তখন আমি মানুষটার দিকে ঘুরে তাকালাম। ভাইয়া আমার দিকে একটা হাসি দিয়ে আরেক হাতও আমার আরেক বুকের উপর রাখলো। আমি অন্ধকারে অনুভব করলাম আমার কেউ নেই এই দুনিয়ায়…
আস্তে সাস্তে শুরু হলো তার অসভ্যতা,,, আমার ছেলোয়ার আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খুলতে শুরু করলো।

আমি চিৎকার দেব বলে ভাইকে শাসালাম,,, কিন্তু সে আমার কোন কথা শুনলো না,, একটা পর্যায়ে আমি তার বিরুদ্ধে গেলাম কিন্তু সে তখন আমারি ওরনা দিয়ে আমার মুখ হাত বেধে আমার উপর নির্যাতন করলো।

সারা রাত মুখ বুঝে সহ্য করলাম তার অমানবিক নির্যাতন,,,

মানুষ অসহায় হলে তখন তার মূল্য থাকে না। কাকা কাকি,, তার এই প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের কাছে রেখে গেছেন৷ একটিবার ভাবেন নি, আমি মেয়ে,,আমি অবলা নারী,,,

ভেবেছিলাম কাকাতো বড় ভাই,, অন্তত আমার সাথে এমন আচরন করবে না,৷ বোনের মতো দেখবে।

কিন্তু না,,, এই পৃথিবীতে নারীরা শুধু মাত্র পুরুষের ভোগের সামগ্রী।

চারিদিকে পুরুষতান্ত্রিক হিংস্র তাবায় আমি প্রতি নিয়তো একেকজনের লালসার শিকার হচ্ছি।

কেউকে নি নেই এই দুনিয়ার,,, আমায় যোগ্য সম্মান দিয়ে আমাকে এই অন্ধকার জীবন থেকে মুক্তি দেবে।

শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে আমি গোংগাতে ছিলাম। তখন কাকাতো ভাই আমার হাত ও মুখের বাধন খুলে দিলো।

প্রচন্ড ঘৃনা নিয়ে থাকালাম ভাইয়ের দিকে,,,, ছিঃ।

আজ পৃথিবীর কাউকে আমি বিশ্বাস করি না। মানুষ কতটা নিজ হতে পারে,,, যা আমি প্রতি নিয়তো জীবন থেকে ঠোকর খেয়ে খেয়ে বুঝেছিলাম।

পরদিন কাকা কাকি সবাই আসলো। আমি কাকিকে নির্জনে সবকিছু খুলে বললাম।
কিন্তু তারা আমার কথা বিশ্বাস করে নি। বিশ্বাস করলেও নিজের ছেলের জন্য উল্টো আমাকে অপয়া মিথ্যাবাদী, খারাপ মেয়ে বানিয়ে দিলেন কাকি ও কাকাতো ভাই।
কাকার সামনে কাকি ও কাকাতো আমার উপর হাত তুললেন,,

আমি অনেক অনুনয় করেও রক্ষা পাই নি। দিনের পর দিন শুরু হলো তাদের অত্যাচার।
একদিন রাতে আমি পালিয়ে গেলাম,,,দুচোখ যেদিকে যায় সেদিকে ছুটলাম।

কিন্তু এতো বড় পৃথিবীতে আমার যায়গা হলো সবশেষে রাস্তায়।
কিন্তু একাকী অসহায় হয়ে যখন রাস্তায় ঘুরছিলাম,, সমাজের লোলুপ দৃষ্টি দিয়ে তাকাতে লাগলো আমার দিকে।
ভাবলাম আজ নয় কাল মানুষ নামক হিংস্র পশুর এই জগতে হয়তো দিনে দিনে নিঃশেষ হতে হবে আমাকে।

তাই ঠিক করলাম আত্নহত্যা করবো। রাস্তার উপরে বিশাল ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ার মনোস্থির করলাম।
তখন পুলিশের টহল রত এক গাড়ি সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিছিল।
আমাকে দেখে নারী কনস্টেবল দুইজন ধরে নিয়ে গাড়িতে তুললো।

একজন পুলিশ জানতে চাইলো আমার ঠিকানা?
আমি বললাম, এই সংসারে আমার কেউ নেই বলেই তাদের পরিচয় দিলাম। আমি অনাথ, এতীম, একা।

সেই গাড়িতে একটি যুবক বয়সী পুলিশ সদস্য ছিলো। আমার কথা গুলো শুনে আমার প্রতি তার হয়তো মায়া লাগে, তাই সে বলে উঠলো,
আমাকে তার মায়ের বাসায় নিয়ে যাবো।
এই দুনিয়ায় আমি কাউকে বিশ্বাস করি না,, যেখানে আপন মানুষ গুলো আমার সাথে অসভ্যতা করতে দ্বিধাবোধ করে নি,, সেখানে পরপুরুষ আমায় কতটুকু বা সম্মান দেবে।

আমি কিছুক্ষণ চুপ হয়ে থাকলাম।
একজন নারী কনস্টেবল মহিলা আমি ভয় পাচ্ছি এটা বুঝতে পেরে আমার পাশে এসে বসলো।

মহিলাটি আমায় কানের কাছে এসে বললেন,,, আমি যেন যাই,,, সেই মানুষটা নাকি খুব ভাল মানুষ।

আমি যেতে রাজি হলাম,,

মানুষটি আমাকে তার বাসায় তার মায়ের কাছে নিয়ে গেলেন।
বৃদ্ধ মহিলা আমার কাছে জানতে চাইলেন আমার জীবনের গল্প, আমি সব কথা তাদের খুলে বললাম।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com